সারাদেশে পবিত্র ঈদুল আজহা পালিত হতে যাচ্ছে ১৭জুন। কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে পশু মোটাতাজাকরণ ও লালন-পালনে ব্যস্ত সময় পার করছেন ছাগলনাইয়ার খামারি ও গৃহস্থরা। গোখাদ্যের বাড়তি দাম, পশুর ওষুধসহ বিদ্যুতের খরচ খামারিদের সামাল দিতে কষ্ট হলেও ভালো দাম পাওয়ার আশায় দিনরাত পশুর পরিচর্যা করে যাচ্ছেন তারা। তবে সীমান্তের চোরাইপথে গরু না ঢুকলে বড়ধরনের লোকাসান থেকে রক্ষা পাবেন খামারিরা।
ছাগলনাইয়া উপজেলায় এবারের কুরবানির জন্য প্রায় ১৯ হাজার পশু প্রস্তুত করা হয়েছে। প্রাণিসম্পদ অফিসের তথ্যমতে, ছাগলনাইয়া উপজেলায় ৭৭৪টি ছোট বড় খামার রয়েছে। কুরবানি উপলক্ষে উপজেলায় এ বছর ১৮ হাজার ৯৬৫টি পশু প্রস্তত রয়েছে। গরু খামারিদের কাউন্সিলিং, পরামর্শ ও খামারে খামারে তদারকি করছে প্রাণিসম্পদ অফিস। উপজেলাজুড়ে সপ্তাহে হাতেগোনা ২টি পশুর হাট বসে। কুরবানির হাটের জন্য উপজেলার গবাদিপশুর পাশাপাশি বাইরের এলাকা থেকেও পশু বাজারে আসতে শুরু করেছে। এতে এবারের কুরবানির হাটে পর্যাপ্ত পশু উঠতে পারে বলে মনে করছেন বিভিন্ন হাটের ইজারাদাররা। সব মিলিয়ে কুরবানির চাহিদা অনুযায়ী পশুর ঘাটতি থাকার কথা নয় বলে মন্তব্য করেছেন অনেকে।
ছাগলনাইয়ার জাহান এগ্রোর মালিক বাদল চৌধুরী জানান, এবারের কুরবানির ঈদের জন্য তার খামারে বিভিন্ন ওজনের দু’শতাধিক পশু প্রস্তুত করা হয়েছে ।অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার প্রতি বস্তা খাদ্যে হাজারেরও বেশি টাকা বেড়ে গেছে। সেই হিসেবে দামও কিছুটা বেশি হবে বলে তিনি জানান।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ( অ.দা.) ডা. মোহাম্মদ রুহুল আমিন বলেন, খামারিদের প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ দেয়া হচ্ছে প্রতিনিয়ত। তিনি আরো জানান, গরু, মহিষ, ছাগল ও ভেড়ার ৭৭৪টি খামার রয়েছে উপজেলায়। এছাড়া অনেকে ব্যক্তিগতভাবেও পশু পালন করেন। এবার কুরবানির জন্য ১৮হাজার ৯৬৫টি পশু প্রস্তুত করা হয়েছে।